ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায় জেনে নিন
ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায় জেনে নিন – ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেকে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। যাদের দৈহিক ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেছে তারা ওজন কমানোর নানা উপায় খুঁজছেন। দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততার কারণে আমাদের সকলের পক্ষে ব্যায়াম করার সময় হয়ে ওঠে না। তাই তারা ব্যায়াম না করে কিভাবে ওজন কমানো যায় তার উপায় খুঁজে থাকেন। আজকের পোষ্টে আপনাদের জন্য ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর কিছু কার্যকরী টিপস নিয়ে এসেছি। চলুন দেখে নেওয়া যাক ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায়।
ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায় জেনে নিন
অনেকেই অনিয়মিত জীবনযাপন করেন। ফলে তাদের দৈহিক ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যায়। তখন এই অতিরিক্ত ওজন কমানো তাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খাদ্য অভ্যাস কে নিয়ন্ত্রন করতে হবে। এছাড়া পরিমিত পরিমাণ পানি পান করতে হবে এবং কম ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও শরীরচর্চা না করে ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত 20 থেকে 30 মিনিট হাঁটাহাঁটি করা প্রয়োজন। চলুন ব্যায়াম না করে কিভাবে ওজন কমাবেন তা জেনে নিই।
আরও পড়ুনঃ
- ব্যায়াম করার সঠিক সময় কখন? জেনে নিন
- প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস চিকিৎসা করতে ফাংশনাল ফুড কার্যকরী
- টেস্টোস্টেরন হরমোন প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধি করার উপায়
- কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
- সিজারের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
- চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ, প্রতিকার ও করণীয়
- ওজন বাড়ানোর সহজ উপায় গুলো জেনে নিন
- ওজন কমানোর উপায় জেনে নিন
- উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কত হওয়া উচিত
- জন্ডিসের লক্ষণ কি জেনে নিন
- টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ব্যায়াম
স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন
ওজন কমাতে এবং শরীর সুস্থ রাখতে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। ক্ষুধা মেটাতে যে কোন খাবার খাওয়া যাবেনা। সাধারণত অস্বাস্থ্যকর তৈলাক্ত খাবার পরিহার করুন। এছাড়াও জাঙ্ক ফুড জাতীয় খাবার পরিহার করার মাধ্যমে দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব। এছাড়া প্রতিদিনের ডায়েটে ফলমূল, শাকসবজি এবং মাছ মাংস রাখতে হবে। এতে করে আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন।
নিজের খাবার নিজেই রান্না করার চেষ্টা করুন
অনেকেই বাইরের হোটেল বা রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে পছন্দ করেন। এতে করে দৈহিক ওজন বেড়ে যায়।
কারণ বাইরের হোটেল বা রেস্টুরেন্টে তৈরি খাবারে তেল, চিনি ও লবণ বেশি পরিমাণে থাকে।
তাই বাড়িতে নিজের খাবার নিজেই রান্না করার চেষ্টা করুন। নিজে রান্না করলে তা কতটা স্বাস্থ্যকর হবে তা নিজেই বুঝতে পারবেন।
আর স্বাস্থ্যকর খাবার ওজন কমাতে সহায়তা করবে। অন্য দিকে খাবারের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় কমবে।
ভিটামিন ডি গ্রহণ করুন
পরিমিত পরিমাণে ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে হবে। এর জন্য ভিটামিন ডি যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করুন।
প্রতিদিন সকালে রোদ পোহাতে পারেন। প্রয়োজনে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন।
আস্তে আস্তে খাবার খান
খাবার আস্তে আস্তে এবং মনোযোগ সহকারে খাওয়া উচিত। এতে করে আপনি অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন। মনোযোগ সহকারে এবং আস্তে খাবার খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। দ্রুত খাবার খেলে তা ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া সম্ভব হয় না। ভালোভাবে চিবিয়ে খাবার খেলে তা সহজে হজম হয়ে যায়। দ্রুত খাবার খেলে আপনার ওজন বেড়ে যাবে। কারণ আপনার পেট ভরে গেছে এই সংকেত মস্তিষ্কে পৌঁছার আগেই আপনি আরও অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলবেন। তারপর মস্তিষ্কে নির্দেশে খাবার খাওয়া বন্ধ করবেন। এতে আপনার দৈহিক ওজন বেড়ে যাবে। তাই দ্রুত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
মেডিটেশন করুন
ওজন কমাতে মেডিটেশন একটি কার্যকরী উপায়। মেডিটেশনের মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি লাভ করা যায়। এছাড়া মেডিটেশন করলে অনিদ্রা দূর হয় এবং ভালো ঘুম হয়। তাই প্রতিদিন 15 থেকে 20 মিনিট মেডিটেশন করা উচিত।
পানি পান করুন
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন। পরিমিত পরিমাণ পানি পান করলে ত্বক ও চুল ভালো থাকে। এছাড়া পানি ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
স্ন্যাকসে পুষ্টিকর খাবার রাখুন
নাস্তায় ভারী খাবার না খেয়ে হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। প্রতিদিনের রাস্তায় ফলমূল ও বাদাম রাখুন। ফলমূল খেলে একদিকে যেমন আপনার ক্ষুধা মিটবে অন্যদিকে শরীরের পুষ্টি পাবে। এছাড়া নিয়মিত ফলমূল খেলে আপনার দৈহিক ওজন কমতে থাকবে। infosearch24.com
কম স্ট্রেস নিন
ওজন কমানোর জন্য মানসিকভাবে সুস্থ থাকা অত্যন্ত জরুরী। মানসিকভাবে সুস্থ না থাকলে আপনার পর্যাপ্ত ঘুম হবেনা। আর ঘুম না হলে আপনার ওজন কমানো সম্ভব নয়। এজন্য মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে হবে।
আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ে আপনি ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। উল্লেখিত টিপসগুলো অনুসরণ করে আপনার ওজন কমানোর চেষ্টা করতে পারেন। আশা করি ভালো ফল পাবেন। এছাড়া আপনার স্থুলতা দূর করার জন্য আপনি একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।