চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ, প্রতিকার ও করণীয়

চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ, প্রতিকার ও করণীয় – চোখ শুধু মনের কথায় বলে না আপনার রোগের কথাও বলে।যদি চোখের সাদা অংশ লাল, জলযুক্ত বা বেদনাদায়ক হয় তবে আমরা সাধারণত তাকে কনজাংটিভাইটিস বলি।ডাক্তারি পরিভাষা একে বলে কনজাংটিভাইটিস। গরম ও বর্ষাকালে চোখ ফুলে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। রোগটি ছোঁয়াচে। ফলস্বরূপ এটি দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
চোখ ওঠার লক্ষণ ও প্রতিকার
কনজেক্টিভাইটিসের লক্ষণ গুলির মধ্যে রয়েছে চোখের নিচের অংশ লাল হওয়া, চোখে ব্যথা, ছিড়ে যাওয়া বা অস্বস্তি হওয়া। প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয়, তারপর অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগে চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে। চোখের নিচের অংশ ফুলে লাল হয়ে যায়। চোখ জ্বালা করে এবং চুলকায়। আলো চোখকে আরো অস্বস্তিকর করে তোলে।
রোগ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকা অনেকেই বিভ্রান্তিতে পড়েন। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চোখের রোগ সাধারণত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে। অনেক সময় এলার্জির কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। যখন বাতাস বেশি আদ্র থাকে তখন এই রোগ বেশি হয়। চিকিৎসকরা বলছেন এই রোগ দুটি কারণে হতে পারে, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া। যাদের চোখে ময়লা, জ্বালাপোড়া হয়, তাহলে এটা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ। একে ব্যাকটেরিয়াল কনজাংটিভাইটিস বলে ।আর শুধুমাত্র ভাইরাল ইনফেকশনের কারণে চোখ জ্বালাপোড়া ও লাল হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে আপনি চোখ স্পর্শ করতে পারবেন না। এলার্জি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।
এই রোগ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন চিকিৎসকরা। কয়েক দিন বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিলে ঠিক হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ
- জন্ডিসের লক্ষণ কি জেনে নিন
- কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
- ওজন বাড়ানোর সহজ উপায় গুলো জেনে নিন
- ওজন কমানোর উপায় জেনে নিন
- উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কত হওয়া উচিত
- টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ব্যায়াম
- ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায় জেনে নিন
- প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস চিকিৎসা করতে ফাংশনাল ফুড কার্যকরী
- ব্যায়াম করার সঠিক সময় কখন? জেনে নিন
- টেস্টোস্টেরন হরমোন প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধি করার উপায়
- সিজারের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
- খুশকি দূর করার উপায়
চোখ উঠলে করণীয়
- চোখ উঠলে চশমা ব্যবহার করতে হবে। এটি চোখের সংস্পর্শ কমাতে সাহায্য করবে।
- চিকিৎসকের পরামর্শে এন্টিবায়োটিক রোগ ব্যবহার করা যেতে পারে।
- নিজের ব্যবহৃত প্রসাধনী এবং ব্যক্তিগত পোশাক অন্যদের ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া যাবে না।
- একইভাবে রোগীর অন্যদের দ্বারা ব্যবহৃত প্রসাধনী এবং ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ব্যবহার করা উচিত নয়।
- কিছুক্ষণ পর পর সাবান পানিতে হাত ধুয়ে নিন।
- কোন কারনে চোখ ভিজে গেলে টিস্যু পেপার দিয়ে চোখ মুছে নিন।
- ব্যবহারের পর টিস্যু পেপার আবর্জনার মধ্যে ফেলে দিতে হবে। অন্যথায় ব্যবহৃত টিস্যু পেপার সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
- চোখ ঘষে চুলকাবেন না।
- প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ।
- ভিটামিন সি এর সাথে সুষুম খাবার খান।
- এ সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।
শেষ কথা
আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ে আপনি চোখ ওঠার রোগের লক্ষণ প্রতিকার ও করণীয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আজকের কনটেন্টের শেয়ার করা তথ্যসমূহ এবং পরামর্শ আপনার ব্যক্তিগত জীবনে চোখ ওঠা রোগ নিরাময়ে সহায়তা করবে।