ওজন বাড়ানোর সহজ উপায় গুলো জেনে নিন
ওজন বাড়ানোর সহজ উপায় গুলো জেনে নিন – প্রতিটি মানুষ তার দৈহিক ওজনের বিষয়ে কম বেশি সচেতন। অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পেলে তা যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তেমনি স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন কম হলে সেটাও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য মানুষের আদর্শ ওজন বজায় রাখা জরুরি। প্রতিটি মানুষ নিজেকে ফির রাখতে চায়। আর নিজেকে ঠিক রাখার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে। ওজন বেড়ে গেলে তা কমানোর জন্য আমাদের যেমন ঘাম ঝরাতে হয়। তেমনি ওজন কম হলেও তা বাড়ানো বেশ কঠিন কাজ। আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ এই আর্টিকেলে ওজন বাড়ানোর সহজ কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা করা হবে। যেগুলো অনুসরণ করলে আপনি নিশ্চিতভাবে দৈফিক ওজন বাড়াতে পারবেন।
ওজন বাড়ানোর সহজ উপায়
দৈহিক ওজন বাড়ানোর জন্য সঠিক খাদ্য অভ্যাস,পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ।দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়মিত শরীর চর্চা সঠিক জীবন যাপন পদ্ধতি ইত্যাদি প্রয়োজন। তাই ওজন বাড়ানোর জন্য নিচের উপায় গুলো সহায়ক হবে।
শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহণ
ওজন বাড়ানোর জন্য শর্করা জাতীয় খাদ্য বেশি পরিমাণ গ্রহণ করতে হবে। অনেকে আছেন যারা শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে চান না। যা ঠিক নয়। যাদের ওজন কম তাদের অবশ্যই বেশি পরিমাণে শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। দৈহিক মোট ক্যালরির শতকরা ৫০ থেকে ৬০ ভাগ শর্করা গ্রহণ করতে হবে। শর্করা জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে চাল, আটা, গম, আল্ পাস্তা ইত্যাদি। দিনে কমপক্ষে তিনবার প্রধান খাদ্য হিসেবে সরকার গ্রহণ করতে হবে।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলে যথেষ্ট পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা সত্ত্বেও শরীর ভেঙ্গে যায়।
তাই ওজন বাড়ানোর জন্য প্রথমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
বাড়ানোর জন্য দুগ্ধ জাত খাবার যেমন তৈরি ছানা ইত্যাদি খেতে হবে।
এছাড়া ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণের জন্য রোদ পোহানো উচিত।
বেশি ক্যালরির খাবার গ্রহণ
ওজন বাড়ানোর জন্য যে সকল খাদ্য ক্যালরি বেশি সে সকল খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
প্রতিদিন শরীরের যে পরিমাণ ক্যালরি ক্ষয় হয় তার থেকে ৫০০ থেকে ৭০০ ক্যালোরি খাবার বেশি গ্রহণ করতে হবে।
বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে মাছ,মাংস, ডিম ,ডাল , শাকসবজি ইত্যাদি।
ব্যায়াম করুন
আপনি হয়তো ভাবছেন আমার তো ওজন কম তাহলে আমাকেও কি ব্যায়াম করতে হবে? হ্যাঁ , ওজন কম হলেও নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন সঠিক থাকে। ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়।
এছাড়া খাদ্য হজমে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এবং পাশাপাশি ব্যায়াম করতে হবে।
আমিষ যুক্ত খাবার গ্রহণ
দৈহিক ওজন বৃদ্ধির জন্য আমিষ জাতীয় খাবারের কোন বিকল্প নেই।
প্রতি কেজি দৈহিক ওজন বৃদ্ধির জন্য একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের জন্য ১.৫ থেকে ২.২ গ্রাম আমিষ গ্রহণ করতে হবে।
আমি জাতীয় খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে মাছ-মাংস, ডিম, দুধ,ডাল, শিমের বিচি ইত্যাদি।
উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ
উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করলে দ্রুত দৈহিক ওজন বৃদ্ধি পায়। তাই খাদ্য তালিকায় অবশ্যই উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাদ্য রাখতে হবে। উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাদ্য গুলোর মধ্যে রয়েছে পেস্তা বাদাম, খেজুর, পনির, ছাগলের মাংস ও কলিজা, কাঠবাদাম, ননী যুক্ত দুধ, কলা, পিনাট ,কাজুবাদাম ইত্যাদি। wikipedia
জীবনযাপন পদ্ধতি
দৈহিক ওজন বৃদ্ধির জন্য নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করতে হবে। এছাড়াও ওজন বাড়ানোর জন্য জীবন যাপন পদ্ধতি স্বাস্থ্যকর হতে হবে। অনিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন করলে স্বাস্থ্য ভেঙ্গে যেতে পারে এবং ওজন কমে যেতে পারে।
দিনে পাঁচ থেকে ছয়বার খাবার গ্রহণ করুন
যাদের ওজন কম তাদের ঘন ঘন খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। পেট খালি রাখা যাবে না। তাই তিন চার ঘন্টা পর পর খাবার গ্রহণ করতে হবে। উচ্চ ক্যালরির খাবার গ্রহণের মাধ্যমে যদি দেহের ক্যালরি চাহিদা পূরণ করা যায় তাহলে অবশ্যই ওজন বাড়ানো সম্ভব হবে।
সুখ নিদ্রা
ওজন বাড়ানোর জন্য ঘুমের কোন বিকল্প নেই। শুধু ঘুমালেই হবে না। দেখতে হবে আপনার ঘুমটা সুখকর কি না। আপনাকে টেনশন ফ্রি হয়ে ঘুমাতে হবে। রাত জাগা যাবে না। তাই তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হবে। দৈনিক আট ঘন্টা ঘুমানো উচিত। কারণ ওজন বাড়াতে ঘুম কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এছাড়া বিকালে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। কারণ বিকেলের ঘুম দ্রুত ওজন বাড়াতে সহায়তা করে।
ফাস্টফুড জাতীয় খাদ্য গ্রহণ
অনেকে হয়তো পাসপোর্ট যাচ্ছ খাদ্য পছন্দ করেন না। কিন্তু আপনার ওজন যদি স্বাভাবিক এর চেয়ে কম হয় এবং আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে পাসপোর্ট জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন। কারণ ফাস্ট জাতীয় খাবারগুলো উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত হয়ে থাকে। তাই ওজন বাড়াতে ফাস্টফুড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফাস্টফুড জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে সিঙ্গারা, বার্গার, আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিং ইত্যাদি।
আরও পড়ুনঃ
- উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কত হওয়া উচিত
- ওজন কমানোর উপায় জেনে নিন
- ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায় জেনে নিন
- জন্ডিসের লক্ষণ কি জেনে নিন
- টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ব্যায়াম
- প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস চিকিৎসা করতে ফাংশনাল ফুড কার্যকরী
- ব্যায়াম করার সঠিক সময় কখন? জেনে নিন
- টেস্টোস্টেরন হরমোন প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধি করার উপায়
- কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
- সিজারের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
- খুশকি দূর করার উপায়
- চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ, প্রতিকার ও করণীয়
কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা
কি খেলে খুব দ্রুত ওজন বাড়ে?
ডিম খেলে খুব দ্রুত ওজন বাড়ে। কারন টিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। আর দৈহিক ওজন বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। তাই দৈহিক ওজন বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন সকাল এবং বিকালে ডিম খাওয়া উচিত। এছাড়া দৈহিক ওজন বৃদ্ধির জন্য আলু একটি ভাল খাবার।
ওজন বাড়াতে কোন ভাত ভালো?
ওজন বাড়াতে বাদামি চাল সর্বোত্তম বিকল্প। কারণ একটি অতিরিক্ত ভাবে পুষ্টিকর।
শেষ কথা
আশা করি আজকের কনটেন্টে ওজন বাড়ানোর জন্য যে কৌশল গুলো উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো আপনার ওজন বাড়াতে সহায়তা করবে। আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।