Technology

গুগল ড্রাইভ কি এবং কিভাবে ব্যবহার করব?

গুগল ড্রাইভ কি এবং কিভাবে ব্যবহার করব? – আপনি কি জানেন গুগল ড্রাইভ কি এবং কিভাবে ব্যবহার করতে হয়?  আপনারা সকলেই হয়তো গুগল ড্রাইভের নাম শুনেছেন। বিশেষ করে যারা স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিটার ব্যবহার করেন তাদের গুগল ড্রাইভ সম্পর্কে কম-বেশি ধারণা রয়েছে। তবুও অনেকেই আছেন যারা গুগল ড্রাইভ কি এবং এটি কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা জানেন না। আজকের পোস্টে গুগল ড্রাইভ কি,গুগল ড্রাইভ কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, গুগল ড্রাইভে কিভাবে ফাইল আপলোড করতে হয়, গুগল ড্রাইভ থেকে কিভাবে ফাইল ডাউনলোড করতে হয়, কিভাবে ফোল্ডার তৈরি করতে হয়, কিভাবে ফাইল সাজিয়ে রাখতে হয় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

গুগল ড্রাইভ কি?  What is Google drive?

গুগল ড্রাইভ হলো অনলাইন স্টোরেজ সার্ভিস। পৃথিবীতে যত রকম ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিস রয়েছে তার মধ্যে গুগল ড্রাইভ সবচেয়ে জনপ্রিয়।
আপনার প্রয়োজনীয় ছবি, ভিডিও এবং ডকুমেন্টস  গুগল ড্রাইভে জমা রাখতে পারবেন। এসব তথ্য মুলত গুগল ড্রাইভের সার্ভারে জমা থাকে। গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই একটি গুগোল একাউন্ট বা  জিমেইল এর দরকার হবে।
আপনি চাইলে যেকোন ব্রাউজার ব্যবহার করে drive.google.com ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে কিংবা ড্রাইভ কম্পিউটার সফটওয়্যার এর মাধ্যমে গুগোল ড্রাইভ ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস চালিত ডিভাইসে ড্রাইভ অ্যাপ থেকেও সেবাটি ব্যবহার করতে পারবেন।

গুগল ড্রাইভ কি ফ্রি ব্যবহার করা যায়?

আপনি হয়ত ভাবছেন গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করতে টাকা পয়সা লাগে কিনা? গুগল ড্রাইভ কি ফ্রি ব্যবহার করা যায়?
হ্যাঁ, গুগল ড্রাইভ ফ্রি এবং পেইড প্লান দুইভাবেই বব্যবহার করা যায়।
আপনি জিমেইল একাউন্ট বা গুগল একাউন্টের সাথে ১৫ জিবি গুগোল ড্রাইভ স্টোরেজ ফ্রি ব্যবহার করতে পারবেন।
কিন্তু আপনার যদি ১৫ জিবি স্টোরেজ ব্যবহারের পর আরও স্টোরেজ প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনি গুগল ড্রাইভের স্টোরেজ কিনতে পারবেন অথবা  গুগল ওয়ান এর মাসিক বা বার্ষিক সাবস্ক্রিপশন কিনতে পারবেন।

গুগল ড্রাইভের কত জিবি স্টোরেজ কিনতে কত খরচ হবে?

আপনি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খুব সহজে গুগল ড্রাইভের স্টোরেজ কিনতে পারবেন। কত জিবি গুগল ড্রাইভ স্টোরেজের জন্য প্রতি মাসে কত মার্কিন ডলার পেমেন্ট করতে হবে তা নিচে উল্লেখ করা হলো –
১০০ জিবি স্টোরেজ : ২ মার্কিন ডলার প্রতি মাসে
২০০ জিবি স্টোরেজ : ৩ মার্কিন ডলার প্রতি মাসে
১ টিবি স্টোরেজ  :  ১০ মার্কিন ডলার প্রতি মাসে

গুগল ড্রাইভে যে সব ফাইল সাপোর্ট করে

গুগল ড্রাইভে প্রায় প্রচলিত সকল প্রকার ফাইল ফরম্যাট সাপোর্ট করে। তবে কিছু কিছু ফাইলের সাইজের ক্ষেত্রে  লিমিটেশন রয়েছে।

ডকস ফাইলের ক্ষেত্রে :

গুগোল ড্রাইভে ১.০২ মিলিয়ন ক্যারেক্টার পর্যন্ত ডকুমেন্ট আপলোড করা যায়। এই ডকুমেন্ট এর ফাইল সাইজ ৫০ এমবি পর্যন্ত হতে পারবে।

স্প্রেডশিটস এর ক্ষেত্রে :

গুগোল ড্রাইভে আপলোডের পর স্প্রেডশিটসমুহ গুগল শিটস দিয়ে ওপেন করা যায়। গুগোল ড্রাইভে সর্বোচ্চ ৫মিলিয়ন সেলস পর্যন্ত সাপোর্ট করে।

প্রেজেন্টেশনের ক্ষেত্রে

গুগোল ড্রাইভে প্রেজেন্টেশন আপলোড করলে সেগুলো গুগল স্লাইডস দিয়ে দেখতে পারবেন এবং প্রয়োজনে এডিট করতে পারবেন। প্রেজেন্টেশন এর সাইজ সর্বোচ্চ ১০০ মেগাবাইট হতে পারে।
উল্লিখিত ফাইল ফরম্যাটসমূহ ব্যতীত অন্য যেকোনো ধরনের সিংগেল ফাইলের সাইজ ৫টিবি পর্যন্ত সাপোর্ট করে গুগল ড্রাইভ।
আরও পড়তে ক্লিক করুন –

গুগল ড্রাইভে ফাইল আপলোড করার নিয়ম

আমরা মোবাইল বা কম্পিটার থেকে খুব সহজে গুগোল ড্রাইভে ফাইল আপলোড করতে পারি। আমাদেরকে এর জন্য ব্রাউজার বা অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে।

মোবাইল থেকে ফাইল আপলোড করার নিয়ম :

প্রথমে গুগোল ড্রাইভ অ্যাপসে প্রবেশ করতে হবে। এরপর  (+) আইকনে ক্লিক করলে বেশ কিছু অপশন আসবে সেখান থেকে Upload অপশন সিলেক্ট করতে হবে।
তারপর আপনার ডিভাইসের কাঙ্ক্ষিত ছবি, ভিডিও, ফাইল সিলেক্ট  করে গুগোল ড্রাইভে আপলোড করতে পারবেন।

কম্পিউটার থেকে ফাইল আপলোড করার নিয়ম :

কম্পিউটার ব্রাউজার থেকে গুগল ড্রাইভে ফাইল আপলোড করতে  drive.google.com এ প্রবেশ করতে হবে। এরপর গুগল ড্রাইভ লোগোর নিচে থাকা New বাটনে ক্লিক করে File Upload এ ক্লিক করে ফাইল অথবা ফোল্ডার আপলোড এ ক্লিক করে ফোল্ডার আপলোড করা যাবে গুগল ড্রাইভে।

গুগল ড্রাইভ থেকে ফাইল ডাউনলোড করার হয়

কম্পিউটারের ব্রাউজার থেকে যেকোনো ফাইল বা ফোল্ডার ডাউনলোড করতে উক্ত ফাইল বা ফোল্ডারের উপর রাইট-ক্লিক করে ডাউনলোড এ ক্লিক করতে হবে।
মোবাইল থেকে সহজেই গুগোল ড্রাইভে থাকা ফাইল ডাউনলোড করা যাবে। তবে মোবাইল অ্যাপ থেকে ফোল্ডার ডাউনলোড করা যায় না।
গুগোল ড্রাইভ অ্যাপসে প্রবেশ করে যে ফাইলটি ডাউনলোড করতে চান তার পাশে থাকা থ্রি-ডট মেন্যুতে ট্যাপ করে ডাউনলোড এ ট্যাপ করুন। তাহলে ফাইলটি আপনার ডিভাইসের মেমোরিতে ডাউনলোড হয়ে যাবে।

গুগল ড্রাইভে ফাইল সাজানোর নিয়ম :

আমরা মোবাইল বা কম্পিউটারে যেভাবে ফাইল ফোল্ডার আকারে বিভিন্নভাবে সাজিয়ে রাখি, গুগল ড্রাইভেও সেভাবে সাজিয়ে রাখা যায়।
মোবাইল থেকে  গুগোল ড্রাইভে ফোল্ডার তৈরি করার জন্য প্লাস (+) বাটনে ট্যাপ করে Folder সিলেক্ট করতে হবে।
আর কম্পিউটার থেকে গুগোল ড্রাইভে ফোল্ডার তৈরি করার জন্য New বাটনে ট্যাপ করে Folder সিলেক্ট করতে হবে।
এরপর মোবাইলে আপনি যে ফাইলটি মুভ করতে চান সেই ফাইলের পাশে থাকা থ্রি-ডট মেন্যুতে ক্লিক করে move সিলেক্ট করুন।
আর কম্পিউটারের ক্ষেত্রে ফাইল ফোল্ডারে মুভ করতে ব্রাউজারে ড্রাগ করে ড্রপ করলেই হবে।
এভাবে আপনি ইচ্ছে মতো ফোল্ডার তৈরি করে এবং ফাইল মুভ করে গুগোল ড্রাইভে সাজিয়ে রাখতে পারবেন।

গুগল ড্রাইভ থেকে ফাইল ডিলিট করার নিয়ম :

আপনি চাইলে গুগোল ড্রাইভ থেকে অপ্রয়োজনীয় ফাইল ডিলিট করতে পারবেন।
মোবাইলে আপনি যে ফাইলটি গুগোল ড্রাইভ থেকে ডিলিট করতে চান সেই ফাইলের পাশে থাকা থ্রি-ডট মেন্যুতে ক্লিক করে Remove এ ক্লিক করুন। তাহলে ফাইলটি ডিলিট হয়ে যাবে।
আর কম্পিউটারের ক্ষেত্রে ফাইল বা ফোল্ডার গুগল ড্রাইভ থেকে ডিলিট করতে ব্রাউজার থেকে উক্ত ফাইল বা ফোল্ডারে রাইট ক্লিক করে Remove এ ক্লিক করুন।
ডিলিট করা ফাইল গুগোল ড্রাইভের Bin/Trash ফোল্ডারে জমা হয়। ডিলিট করা ফাইল বিন এ ৩০ দিন পর্যন্ত জমা থাকে।
বিন বা ট্র্যাশ এ থাকা ফাইল গুলো ৩০ দিন পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে চিরতরে মুছে যায়। তখন আর ফাইল রিস্টোর সম্ভব নয়।
আপনি চাইলে ৩০ দিনের মধ্যে ডিলিট করা ফাইল পুনরায় Restore করতে পারবেন।
ওয়েবসাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি, আজকের পোস্টটি পড়ে আপনি গুগোল ড্রাইভ কি এবং কিভাবে ব্যবহার করব? তা জানতে পেরেছেন। পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মতামত কমেন্ট করে জানান।

admin

I am Md. Rezaul Karim. I am a blogger and an online entrepreneur. Today I will tell you all the important details about me.I established the quicksearch24.com web site on my personal initiative. In this web site I want to share my knowledge with you about latest technology, health, education, news, travel and online earning.We always try to serve correct and accurate information. Besides, we always try to serve relevant, informative and up-to-date content. We do not publish any obscene or obscene content. We only publish things that are very essential for daily life. So our published content is applicable to people of all ages.The present age is the age of information and technology. So we try to publish new information about technology first. We want people to know that they can make money online by doing simple things like sharing photos on social media or watching videos on YouTube.If you have any questions about any information published on our website or want to know about any other matter, please let us know by commenting. We will try to answer your question correctly as soon as possible.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *