Facebook

ফেসবুক কি? ফেসবুক ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা

ফেসবুক কি? ফেসবুক ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা-আজকের দিনে ফেসবুকের নাম শোনেনি বা ফেসবুক আইডি নেই এমন লোকের সংখ্যা নেহায়েতই কম। বর্তমানে পৃথিবীতে ৫০০ মিলিয়নের বেশি লোক ফেসবুক ব্যবহার করে। আপনি যদি ফেসবুক ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে ফেসবুক ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা কি? সে সম্পর্কে জানা দরকার। আজকের পোস্টে ফেসবুক কি? সুবিধা অসুবিধা,ফেসবুকের জনক কে,বাংলাদেশে ফেসবুক চালু হয় কত সালে?,মেসেঞ্জার কি?,এবং ফেসবুক কি? ফেসবুক ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করব।

ফেসবুক কি?

Facebook হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম। ফেসবুক হচ্ছে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম।

Facebook হচ্ছে একটি অনলাইন ভিত্তিক ওয়েব সাইট। এটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে Facebook.com বা Facebook app এ একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।

ফেসবুক ব্যবহারের জন্য আপনার একটি স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ প্রয়োজন হবে। সেই সাথে ইন্টারনেট কানেকশন দরকার হবে।

এর মাধ্যমে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগে,চ্যাটিং, ইনফর্মেশন শেয়ার, ভিডিও শেয়ার, ভিডিও চ্যাটিং ইত্যাদি কাজ গুলো সহজেই সম্পন্ন করা যায়।

ফেসবুকের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের যে কোন লোকের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করা যায়। ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজ তৈরি করে বিভিন্ন বিজনেস প্রোমোট করা যায়।

ফেসবুক ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা

প্রত্যেক ফেসবুক ব্যবহারকারীকে ফেসবুক কি? ফেসবুকের ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে জানা একান্ত প্রয়োজন। ইতিমধ্যে আমারা ফেসবুক কি? তা জেনে গেছি। এখন আমরা ফেসবুক ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে জানবো। এগুলো জানলে আমরা বুঝতে পারব যে ফেসবুক ব্যবহার করা আমাদের উচিত না অনুচিত। ফেসবুক আমাদের জন্য উপকারী না ক্ষতিকর। তো চলুন ফেসবুক কি? সুবিধা অসুবিধা গুলো এক নজরে দেখে নেয়া যাক।

ফেসবুক ব্যবহারের সুবিধা

প্রথমে আমরা জেনে নিই ফেসবুক  কি কি সুবিধা দিয়ে থাকে। এগুলো আমাদের জন্য কতটা উপকারী।

ফেসবুক ব্যবহারের সুবিধা গুলো নিচে আলোচনা করা হলো –

আত্মীয় স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবের সাথে যোগাযোগ

ফেসবুকে আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব সকলেই একাউন্ট খুলে থাকে। তাই আপনি ফেসবুকে একাউন্ট তৈরি করে বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজনকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে হবে এবং ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করলেই আপনি তার ফেসবুক বন্ধু হয়ে যাবেন। এখন তাদের সাথে কানেক্ট হয়ে চ্যাটিং এবং ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন।

ভিডিও এবং ছবি আপলোড করা

আপনি বন্ধুদের সাথে আপনার পছন্দের ভিডিও এবং ছবি আপলোড করতে পারবেন। আপনার আপলোড করা ছবি ও ভিডিও অন্যান্য ফেসবুক বন্ধুরা দেখতে পাবে। আপনি চাইলে আপনার অতীতের এবং বর্তমানের যে কোন গুরুত্বপূর্ণ ছবি ও ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন।

ব্যবসার প্রমোশন

বিজনেস প্রোমোট করার জন্য ফেসবুক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম। আপনার বিজনেস বা ব্যবসাকে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রোমোট করতে পারবেন। ফেসবুকে প্রচুর পরিমাণে ইউজার রয়েছে। আপনি এসব ইউজারদের টার্গেট করতে পারেন। আপনি বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ বা ফেসবুক পেজ খুলে আপনার ব্যবসাকে বা ব্রান্ডকে প্রোমোশন করতে পারেন।

বিনোদন

ফেসবুক ব্যবহারের সুবিধা গুলোর মধ্যে বিনোদন একটি। আপনার জন্য ফেসবুকে রয়েছে বিনোদনের ব্যবস্থা। আপনি মজার মজার ছবি, ভিডিও দেখে এবং অডিও শুনে সময় কাটাতে পারেন। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন গেম খেলার সুবিধা।

নতুন কিছু শিখতে ফেসবুক

ফেসবুক ইউজারা ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও আইডিয়া শেয়ার করেন। আপনি ছবি দেখে, ভিডিও দেখে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য জানতে পারবেন এবং শিখতে পারবেন।

ভিডিও চ্যাটিং

ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে ভিডিও কল করে কথা বলতে পারেন। ফেসবুক ফ্রিতে ভিডিও কল করার সুবিধা দিয়ে থাকে।

এছাড়া যারা মোবাইল নাম্বার ব্যবহার না করে ভিডিও চ্যাটিং করতে চান তাদের জন্য ফেসবুক একটি ভালো প্লাটফর্ম।

আপনি গ্রুপ তৈরি করে অনেক বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের সাথে এক সাথে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলতে পারবেন।

আপডেট খবর জানতে ফেসবুক

দেশ বিদেশের আপডেট খবর জানতে ফেসবুক ব্যবহারের জুড়ি নেই। ফেসবুকে রয়েছে বিভিন্ন নিউজ গ্রুপ এবং নিউজ পেজ।

এসব নিউজ গ্রুপ এবং নিউজ পেজে যোগদান করে আপনি প্রতিদিনের তাজা খবর গুলো সহজেই জানতে পারবেন।

এখন আপনাকে আর খবর শোনার জন্য রেডিও কিংবা টিভি এর পাশে কান পেতে বসে থাকতে হবে না।

আপনি যখন সময় পাবেন বা যখন প্রয়োজন তখন ফেসবুকে লগইন করে আপডেট খবর গুলো জেনে নিতে পারেন।

ফেসবুকের মাধ্যমে ফেমাস ব্যক্তি হওয়া

আপনি যদি চান সবাই আপনাকে চিনুক, সবাই আপনাকে জানুক,সবার কাছে পরিচিত একজন মানুষ হতে চান তাহলে ফেসবুকের মাধ্যমে এটা করতে পারবেন। ফেসবুক গ্রুপ এবং ফেসবুক পেজ তৈরি করে সেখানে আপনার ট্যালেন্ট প্রকাশ করতে পারেন। ফেসবুকে রয়েছে অসংখ্য ইউজার।এই ইউজারদের কাছে যদি আপনার কাজ কর্ম , আপনার আইডিয়া ইত্যাদি ভালো লাগে তাহলে তারা ফলো করবে। এভাবে আপনি সবার কাছে একজন ফেমাস ব্যক্তি হতে পারবেন।

স্মৃতি মনে করিয়ে দিতে ফেসবুক

অতীতের স্মৃতি গুলো আপনি ভুলে গেলেও ফেসবুক আপনাকে স্মৃতি গুলো মনে করিয়ে দিবে। অতীতের আপনি যে সব ছবি ফেসবুকে আপলোড করেছেন সেই তারিখে ফেসবুক আপনার সামনে পুরনো স্মৃতিগুলো ফিরিয়ে আনবে। তখন আপনার অতীতের স্মৃতি গুলো মনে পড়ে যাবে। আপনি এই পুরনো স্মৃতিগুলো বন্ধুদের কাছে শেয়ার করতে পারবেন।

আরও পড়ুন –

ফেসবুক ব্যবহারের অসুবিধা

ফেসবুক ব্যবহারের যেমন সুবিধা রয়েছে তেমনি কিছু অসুবিধাও রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে ফেসবুক ব্যবহারের সুবিধা গুলো জেনেছি।

এখন ফেসবুক ব্যবহারের অসুবিধা গুলো জেনে নিই। নিচে ফেসবুক ব্যবহারের অসুবিধা গুলো আলোচনা করা হলো-

সিকিউরিটি এবং প্রাইভেসি

ফেসবুক ব্যবহারের সবচেয়ে বড় এবং প্রথম অসুবিধা হচ্ছে সিকিউরিটি এবং প্রাইভেসি। ব্যবহারকারীদের অনেক পার্সোনাল ইনফরমেশন অন্য ব্যাক্তি সামনে চলে আসে।

অনেকে অন্যের পার্সোনাল ফটো এবং ভিডিও খারাপ কাজে ব্যবহার করে থাকেন। এতে করে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সিকিউরিটি এবং প্রাইভেসি নষ্ট হয়।

শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাত

ফেসবুক ব্যবহারের কারণে ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। তারা লেখাপড়া না করে ফেসবুকে ব্যস্ত থাকে। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগ না দিয়ে ফেসবুকে চ্যাটিং করে সময় নষ্ট করছে। ফলে তারা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে না।

স্বাস্থ্যের ক্ষতি

অতিরিক্ত ফেসবুক ব্যবহার করলে মস্তিষ্কে চাপ বাড়ে এবং মাথা ব্যথা হয়। এছাড়া মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সময় অপচয়

অনেক সময় মানুষ প্রয়োজনীয় কাজ কর্ম ফেলে রেখে ফেসবুকে সময় কাটায়। এতে করে তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। অহেতুক ফেসবুকে ব্যস্ত থেকে জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সময় মতো সম্পন্ন করতে পারে না।

ফেসবুকের মাধ্যমে প্রতারণা

অনেককে ফেসবুকে ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে আপনার বন্ধু সেজে আপনার সাথে প্রতারণা করতে পারে। হাতিয়ে নিতে পারে আপনার গুরুত্বপূর্ণ পার্সোনাল ইনফরমেশন।

অনেক সময় কিডনাপ এর মতো ঘটনাও ঘটছে। তাই কেউ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালে তার অ্যাকাউন্টটি ফেক কিনা তা যাচাই করে দেখবেন।

ভার্চুয়াল জগতে প্রবেশ

ফেসবুক হচ্ছে একটি ভার্চুয়াল জগত বা দুনিয়া। এখানে কেউ প্রবেশ করলে তার বাস্তব দুনিয়ার কথা মনে পড়ে না। সে ফেসবুকেই তার বাস্তব দুনিয়া মনে করে।

সে তার বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন এবং তার পরিবারের সদস্যদের সময় দিতে পারে না। সে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে।

সে তার প্রকৃত বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজন থেকে দূরে সরে যায়। ফলে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকে।

ফেসবুকের জনক কে?

Mark Zuckerberg কে ফেসবুকের জনক বলা হয়। তিনি Harvard Computer Science এর ছাত্র ছিলেন। Mark Zuckerberg এবং তার সহপাঠী Eduardo Saverin, Dustin Moskovitz এবং Chris Hughes মিলে ফেসবুক উদ্ভাবন করেছিলেন। কিন্তু ফেসবুকের গঠন ও অস্তিত্বের পিছনে Mark Zuckerberg অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তাই Mark Zuckerberg কেই ফেসবুকের জনক বলা হয়।

ফেসবুক মেসেঞ্জার কি?

মেসেঞ্জার হলো একটি অ্যাপ্লিকেশন যার মাধ্যমে ফেসবুক ইউজাররা টেক্সট চ্যাটিং এবং ভিডিও চ্যাটিং করে থাকেন।

ফেসবুক মেসেঞ্জারে বর্তমানে অনেক নতুন নতুন ফিচার যুক্ত হয়েছে। মেসেঞ্জারের মাধ্যমে ফেসবুক ইউজাররা লাইফ ভিডিও চ্যাটিং,অডিও চ্যাটিং করতে পারেন।

Messenger হচ্ছে একটি চ্যাটিং Apps. ফেসবুক অ্যাকাউন্ট যাদের আছে শুধু তারাই মেসেঞ্জার ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য ইন্টারনেট কানেকশন দরকার।

এছাড়া মেসেঞ্জারের মাধ্যমে ফেসবুক ইউজাররা Stickers, Video, Audio, File এবং Documents পরস্পর পরস্পরের সাথে আদান প্রদান করতে পারেন।

আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ে আপনি ফেসবুক কি? সুবিধা অসুবিধা ,ফেসবুকের জনক কে তা জানতে পেরেছেন।

আরও পড়ুন –

ফেসবুকে লক প্রোফাইল দেখার সহজ পদ্ধতি

admin

I am Md. Rezaul Karim. I am a blogger and an online entrepreneur. Today I will tell you all the important details about me.I established the quicksearch24.com web site on my personal initiative. In this web site I want to share my knowledge with you about latest technology, health, education, news, travel and online earning.We always try to serve correct and accurate information. Besides, we always try to serve relevant, informative and up-to-date content. We do not publish any obscene or obscene content. We only publish things that are very essential for daily life. So our published content is applicable to people of all ages.The present age is the age of information and technology. So we try to publish new information about technology first. We want people to know that they can make money online by doing simple things like sharing photos on social media or watching videos on YouTube.If you have any questions about any information published on our website or want to know about any other matter, please let us know by commenting. We will try to answer your question correctly as soon as possible.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *