মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, টিকেট ও ভাড়ার তালিকা
মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, টিকেট ও ভাড়ার তালিকা – মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে খুলনার রহনপুর পর্যন্ত চলাচল করে। আপনি যদি মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনে ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে এই ট্রেনের সময়সূচি সম্পর্কে আপনার জানা প্রয়োজন। আজকের আর্টিকেলে মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী,টিকিট ও ভাড়ার তালিকা, বিরোধী স্টেশন ও ছুটির দিনসহ সকল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনটি যশোর, ঝিনাইদহ , চুয়াডাঙ্গা , কুষ্টিয়া , পাবনা , নাটোর এবং রাজশাহী জেলা কে সংযুক্ত করেছে। এই ট্রেনটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
মহানন্দা এক্সপ্রেস
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত একটি মেইল ট্রেন হচ্ছে মহানন্দা এক্সপ্রেস। ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনটি উদ্বোধন করা হয়। মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে খুলনার রহনপুর পর্যন্ত যাতায়াত করে। এই ট্রেনের নাম্বার হচ্ছে ১৫/১৬।
মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
যেকোনো পরিবহনে ভ্রমণ এর আগে সেই পরিবহনের সময়সূচী সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। এছাড়া ট্রেনে ভ্রমণ করতে চাইলে ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ একটি নির্দিষ্ট সময় স্টেশন ছেড়ে চলে যায়। তাই ট্রেনের সঠিক সময়সূচি জানা না থাকলে আপনি ট্রেন মিস করবেন এবং সঠিক সময় গন্তব্য পৌঁছাতে পারবেন না। তাই আপনাদের সুবিধার্থে এখানে মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী তুলে ধরা হলো।
মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রহনপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ০৬ঃ০০ মিনিটে যাত্রা শুরু করে এবং ০৭ঃ৫৫ মিনিটে রাজশাহী পৌঁছায়।
আবার মহানন্দা এক্সপ্রেস মেল ট্রেনটি রহনপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছাড়ে সকাল ৬টার সময়। মহানন্দা এক্সপ্রেস মেইল ট্রেনটি রহনপুর থেকে ছেড়ে রাজশাহী প্রবেশ করে সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে। আবার ২০ মিনিট বিরোতি দিয়ে রাজশাহী থেকে ছাড়ে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে। এবং খুলনা গিয়ে পাওয়া যায় বিকাল ৪ টা ৪০ মিনিটে।
মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি ষ্টেশন সমূহ
রহনপুর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে এসে রাজশাহীতে বিরতি দিয়ে রাজশাহী টু খুলনা রুটে চলাচল করে মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ টু খুলনা চলাচলের মধ্যে প্রায় সকল স্টেশনে বিরতি দিয়ে থাকে মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনটি। তাহলে চলুন জেনে নিই রাজশাহী টু খুলনা মহানন্দা এক্সপ্রেস মেইল ট্রেনের স্টপেজ স্টেশন সমূহ সম্পর্কে ঃ
- রহনপুর থেকে ছাড়ে
- গোলাবাড়ি
- নাচোল
- নিজামপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- আমনুরা
- ললিত নগর
- কাকনহাট
- শীতলাই
- রাজশাহী কোর্ট
- রাজশাহী থেকে ছাড়ে
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
- হরিয়ান
- সরদহ রোড
- নন্দনগাছী
- আরানি
- লোকমানপুর
- আব্দুলপুর
- আজিমনগর
- ঈশ্বরদী
- পাকশী
- ভেড়ামারা
- মিরপুর
- পোড়াদহ
- হালসা
- আলমডাঙ্গা
- মুন্সিগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়রামপুর
- দর্শনা হল্ট
- উথলি
- আনসার বাড়িয়া
- সাফদারপুর
- কোটচাঁদপুর
- মোবারকগঞ্জ
- যশোর ক্যান্টনমেন্ট
- যশোর
- সিংগিয়া
- নোয়াপাড়া
- ফুলতলা
- দৌলতপুর
- খুলনা
মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া
আমরা আজকের আর্টিকেল এ জানব রাজশাহী থেকে খুলনা ও রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর মধ্যে সকল বিরতী রেলওয়ে স্টেশন গুলোর মহানন্দা এক্সপ্রেস মেইল ট্রেনটির ভাড়ার তালিকা সম্পর্কে।
তাহলে চলুন জেনে নিই রাজশাহী টু খুলনা মহানন্দা এক্সপ্রেস মেইল ট্রেনের ভাড়ার তালিকা সম্পর্কে ঃ
রাজশাহী থেকে নিচের স্টেশন গুলোর মহানন্দা এক্সপ্রেস মেইল ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
- রহনপুর ২৫ টাকা
- গোলাবাড়ি ২৫ টাকা
- নাচোল ২০ টাকা
- নিজামপুর ১৮ টাকা
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫ টাকা
- আমনুরা ১৬ টাকা
- ললিতনগর ১৫ টাকা
- কাকনহাট ১৫ টাকা
- শীতলাই ১৫ টাকা
- রাজশাহী কোর্ট ১৫ টাকা
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৫ টাকা
- হরিয়ান ১৫ টাকা
- সরদহ রোড ১৫ টাকা
- নন্দনগাছী ১৫ টাকা
- আরানি ১৫ টাকা
- লোকমানপুর ১৫ টাকা
- আব্দুলপুর ১৭ টাকা
- আজিমনগর ২০ টাকা
- ঈশ্বরদী ২৫ টাকা
- পাকশী ৩০ টাকা
- ভেড়ামারা ৪৫ টাকা
- মিরপুর ৫০ টাকা
- পোড়াদহ ৫৫ টাকা
- হালসা ৫৫ টাকা
- আলমডাঙ্গা ৬০ টাকা
- মুন্সিগঞ্জ ৬০ টাকা
- চুয়াডাঙ্গা ৬৫ টাকা
- জয়রামপুর ৬৫ টাকা
- দর্শনা হল্ট ৬৫ টাকা
- উথলি ৭০ টাকা
- আনসার বাড়িয়া ৭০ টাকা
- সাফদারপুর ৭৫ টাকা
- কোটচাঁদপুর ৭৫ টাকা
- মোবারকগঞ্জ ৮০ টাকা
- যশোর ক্যান্টনমেন্ট ৮৫ টাকা
- যশোর ৯০ টাকা
- সিংগিয়া ৯৫ টাকা
- নোয়াপাড়া ৯৫ টাকা
- ফুলতলা ১০০ টাকা
- দৌলতপুর ১০৫ টাকা
- খুলনা ১০৫ টাকা।
উপরের উল্লেখিত ভাড়ার তালিকা গুলো হচ্ছে রাজশাহী থেকে খুলনা ও রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মধ্যবর্তী সকল স্টেশনের মহানন্দা এক্সপ্রেস মেইল ট্রেনের ভাড়ার তালিকা। মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনটি মেল হওয়ার ফলে ভাড়ার তালিকা গুলো কম।
অন্যান্য আন্তঃনগর ও কম্পিউটার ট্রেনের ভাড়ার তালিকা উপরে উল্লেখিত স্টেশন গুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া হবে। আন্তঃনগর ও কম্পিউটার ট্রেনের ভাড়া মেইল টেনের ভাড়া থেকে দ্বিগুণ হয়ে থাকে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ রেলওয়ে সময়সূচি বা ভাড়ার তালিকা পরিবর্তন করতে সক্ষম।